সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াতের গুরুত্ব:
ধর্মীয় গুরুত্ব:
- হাদিসে বর্ণিত:
- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তি পাবে।” (সহিহ মুসলিম)
- “আর তাদেরযারা কুফর করেছে, তাদেরকে বলা হবে, ‘আপনারা কী পড়ছো?‘ তারা বলবে, ‘আমরা কুরআন পড়ছি।’ তাদেরকে বলা হবে, ‘তবে তোমরা জ্ঞান অর্জন করোনি এবং তোমরা পথনির্দেশ পাওনি।'” (সূরা আল-বাকারা: ২৮)
অন্যান্য গুরুত্ব:
- ঈমানের শক্তি বৃদ্ধি: সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াতে ঈমানের গুরুত্ব, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, এবং পরকালের প্রতি আস্থার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই আয়াতগুলি মুমিনদের ঈমানের শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং তাদেরকে পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- শয়তানের প্রতিরোধ: শয়তানের ফিতনা থেকে মুক্তি পেতে এই আয়াতগুলি মুখস্থ করা ও পাঠ করা অত্যন্ত কার্যকর।
- মানসিক প্রশান্তি: এই আয়াতগুলি পড়লে মনে শান্তি ও প্রশান্তি আসে।
- শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা: সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াতে নবী মূসা (আঃ) ও তাঁর সঙ্গীর গল্প,
- তাদের ঈমানের পরীক্ষা,
- দাজ্জালের ফিতনা,
- এবং
- পরকালের বিচার সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
-
- এই আয়াতগুলি আমাদেরকে শিক্ষা দেয় এবং
- আমাদেরকে সৎ
- এবং ন্যায়পরায়ণ জীবনযাপন করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।
সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করার ও পাঠ করার সর্বোত্তম সময় হলো:
- সুবহে সাদিকের সময়
- মাগরিবের নামাজের পর
- শুভ রাতের শেষভাগে
সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করার ও পাঠ করার সময় কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত:
- আগে অজু করতে হবে
- কিবলামুখী হয়ে বসতে হবে
- খাঁটি উচ্চারণে আয়াতগুলি পড়তে হবে
- মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে
- আয়াতগুলির অর্থ বুঝার চেষ্টা করতে হবে