জিলহজ্জ মাসের গুরুত্ব:
ইসলামী ক্যালেন্ডারের বারো মাসের মধ্যে জিলহজ্জ মাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র মাস। এই মাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে এবং মুসলিমদের জন্য বিশেষ কিছু আমল নির্ধারিত করা হয়েছে।
জিলহজ্জ মাসের গুরুত্বের কিছু কারণ:
- হজ্ব: হজ্ব ইসলামের পঞ্চস্তম রুকন এবং প্রতিটি সক্ষম মুসলিমের জীবদ্দশায় অন্তত একবার হজ্ব করা ওয়াজিব। জিলহজ্জ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত হজ্ব পালিত হয়।
- আরাফার দিন: জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ আরাফার দিন। এই দিন মুসলিমরা আরাফাত ময়দানে জমা হয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করে। আরাফার দিন ক্ষমা লাভের দিন বলে বিবেচিত হয়।
- কুরবানির ঈদ: জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আযহা বা কুরবানির ঈদ পালিত হয়। এই দিন মুসলিমরা আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য পশু কোরবানি করে।
- দশ রাত: জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ রাতকে “দশ রাত” বলা হয়। এই রাতগুলো নেক আমল করার জন্য অত্যন্ত উত্তম।
- তাকবির: জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন তাকবির তাজিম করা সুন্নত।
-
জিলহজ্জ মাসে মুসলিমদের জন্য কিছু করণীয় আমল:
- হজ্ব: যারা সক্ষম তারা হজ্ব পালন করবেন।
- আরাফার দিন: আরাফাত ময়দানে জমা হয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করা।
- কুরবানি: আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য পশু কোরবানি করা।
- রোজা: ঈদের আগের দিন রোজা রাখা সুন্নত।
- নফল নামাজ: নফল নামাজ বেশি বেশি আদায় করা।
- দান-সদকা: দান-সদকা করা।
- তাকবির: জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন তাকবির তাজিম করা।
- কুরআন তিলাওয়াত: কুরআন তিলাওয়াত বেশি বেশি করা।
- জিকির: জিকির ও দুআ বেশি বেশি করা।
জিলহজ্জ মাস মুসলিমদের জন্য আত্মশুদ্ধি, আত্মোপলব্ধি এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাস। এই মাসে নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের চেষ্টা করা উচিত।