পবিত্র কুরআনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে বলা হয়েছে:
পবিত্র কুরআনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিভিন্ন দিক থেকে আলোচিত হয়েছে।
🔹কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
🔸আল্লাহর শক্তির প্রদর্শন:
▫️সূরা বাকারা, আয়াত 28-29: “আর যদি তোমরা সন্দেহে থাকো যে আমরা তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুনে পৌঁছে দিয়েছি, তাহলে তোমাদের রবকে ডাকো; যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে তোমাদের অনুরোধ পূরণ করা হবে।”
▫️সূরা ইউনুস, আয়াত 92: “আর যদি তারা (আমার) কথা মানে না, তাহলে আমরা তাদের উপর আকাশ থেকে শাস্তি পাঠাবো, যা অত্যন্ত কঠিন ও যন্ত্রণাদায়ক হবে।”
▫️মানুষের পাপের ফলাফল:
▫️সূরা রোম, আয়াত 41: “মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সাগরে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে, যাতে তারা কিছু কিছু কাজের শাস্তি আস্বাদন করে এবং যাতে তারা ফিরে আসে।”
▫️সূরা আন-নাহল, আয়াত 48: “আর তুমি কি দেখোনি যে, আল্লাহ তার বান্দাদের উপর বৃষ্টি পাঠিয়েছেন, তারপর তারা তা গ্রহণ করেছেন, তারপর তারা আল্লাহর অনুগ্রহের প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়ে গেছে? আর তারা কি দেখোনি যে, আল্লাহ তোমাদের জন্য বাতাস ও মেঘ পাঠিয়েছেন, তারপর তারা তা ঘুরিয়ে ফিরিয়েছেন? তারপরও তারা রহমতের ব্যাপারে সংশয়গ্রস্ত থাকে?”
🔸সতর্কবার্তা:
▫️সূরা আল-ইমরান, আয়াত 104: “আর তুমি কি দেখোনি যে, আল্লাহ পৃথিবীকে স্থির করে রেখেছেন? যদি সেটা কাঁপতে শুরু করত, তাহলে তারা তো তাতে থাকতে পারত না। আর সমুদ্রেও তরঙ্গ আছে, যার উপরে নৌকা ভেসে বেড়ায়; আর আল্লাহ যা চান তা সমুদ্রে পরিচালনা করেন। নিশ্চয়ই এতে মানুষের জন্য বড় বড় নিদর্শন আছে।”
▫️সূরা আন-নাহল, আয়াত 68: “আর তুমি কি দেখোনি যে, আল্লাহ মেঘকে বাতাসের দিকে ঠেলে দিয়েছেন, তারপর সে তা বৃষ্টিতে রূপান্তরিত করে? তারপর তিনি তা পাহাড়ে নির্গত করেন, তারপর সেটা থেকে পানি প্রবাহিত হয়। তারপর সে পানি দিয়ে তোমাদের জন্য ফসল, ও জলপাই, ও আঙ্গুর, ও খেজুর, ও ফলের বাগান উৎপন্ন করেন। নিশ্চয়ই এতে মানুষের জন্য বড় নিদর্শন আছে।”
🔸কৃতজ্ঞতার শিক্ষা:
▫️সূরা আ’রাফ, আয়াত 143: “আর তোমরা তাকে ডাকো, ভয় ও আশা সহকারে; আর তোমরা অহংকার থেকে দূরে থাকো।”