লেখক: পাওলো কোয়েলহো
প্রকাশনা: ১৯৮৮
কাহিনী:
এই উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে সান্তিয়াগো, একজন অ্যান্ডালুসিয়ান মেষপালক। বারবার একই স্বপ্ন দেখার পর – মিশরের মরুভূমিতে লুকিয়ে থাকা একটি পিরামিডের ধারণা – সে একজন জিপসি ভাগ্যবানের সাথে দেখা করে এবং তার ভাগ্য অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ধনসম্পদের স্বপ্নে সান্তিয়াগো তার ভেড়ার পাল বিক্রি করে মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ভ্রমণের পথে সে বিভিন্ন ধরণের মানুষের সাথে দেখা করে যারা তাকে জীবন ও বিশ্ব সম্পর্কে শেখায়।
ইংরেজ রসায়নবিদ তাকে আধ্যাত্মিকতার পথের মরুভূমির গোষ্ঠীপতি তাকে প্রেমের শক্তি সম্পর্কে এবং বয়স্ক রসায়নবিদ তাকে রহস্যময় আলকেমির জ্ঞান সম্পর্কে শেখায়।
অবশেষে সান্তিয়াগো মিশর পৌঁছে এবং পিরামিড খুঁজে পায়। কিন্তু ধনসম্পদের কাছাকাছি পৌঁছালে ডাকাতদের হাতে আক্রান্ত হয়। তারা তার সমস্ত সম্পদ ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে মরুভূমিতে মৃত্যুর জন্য ফেলে দেয়।
মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে সান্তিয়াগো বুঝতে পারে যে তার যাত্রা কেবল ধন খুঁজে পাওয়ার জন্য নয়, বরং নিজেকে খুঁজে পাওয়ার জন্য। সে তার ভাগ্যকে গ্রহণ করে মরুভূমিতে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হয়।
ঠিক তখনই, বয়স্ক রসায়নবিদ আবার তাকে দেখা করে এবং পিরামিডের গোপন রহস্য উন্মোচন করে। রসায়নবিদ ব্যাখ্যা করে যে পিরামিডটি কেবল একটি স্থান নয়, বরং আত্মার প্রতীক। সান্তিয়াগো বুঝতে পারে যে তার সত্যিকারের সম্পদ তার মধ্যেই ছিল সবসময়, এবং সে তার যাত্রা শুরু করার আগে যেখানে ছিল সেখানেই ফিরে যায়।
প্রধান থিম:
- আত্ম-আবিষ্কার: দ্য আল্কেমিস্টের কেন্দ্রীয় থিম হল আত্ম-আবিষ্কার। সান্তিয়াগোর যাত্রা তাকে নিজের সম্পর্কে এবং সে বিশ্বে তার স্থান সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।
- স্বপ্ন অনুসরণ: উপন্যাসটি আমাদের আমাদের স্বপ্ন অনুসরণ করতে এবং আমাদের ভাগ্য পূরণ করতে উত্সাহিত করে। সান্তিয়াগো তার স্বপ্ন অনুসরণ করে এমন অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, কিন্তু সে শেষ পর্যন্ত তার পুরস্কার পায়।
- পরিবর্তন: দ্য আল্কেমিস্ট আমাদের শেখায় যে জীবন পরিবর্তনের একটি যাত্রা। সান্তিয়াগো তার যাত্রা শুরু করে একজন সরল মেষপালক হিসেবে, কিন্তু সে শেষ পর্যন্ত একজন জ্ঞানী এবং পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে যায়।