রাতে ঘুমানোর আগে সূরা মুলক পড়ার গুরুত্ব

রাতে ঘুমানোর আগে সূরা মুলক পড়ার গুরুত্ব:

ধार्मिक গুরুত্ব:

  • হাদিসে বর্ণিত: হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা মুলক তিলাওয়াত করবে, তার উপর কবরের আযাব থেকে রক্ষা দেওয়া হবে।” (তিরমিজি: ২৮৯১)।
  • ফজিলত: সূরা মুলককে “কবরের আযাব থেকে মুক্তির সূরা” বলা হয়। অনেক মুসলিম বিশ্বাস করেন যে, রাতে ঘুমানোর আগে এই সূরা তিলাওয়াত করলে কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • সুপারিশকারী: হজরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সাঃ) দোয়া করতেন, “হে আল্লাহ! আমি কবরের আযাব থেকে আপনার আশ্রয় চাই।” এই দোয়ার সাথে তিনি সূরা মুলকও তিলাওয়াত করতেন। (তিরমিজি: ২৮৯৫)।অন্যান্য গুরুত্ব:
    মানসিক শান্তি: সূরা মুলকের আয়াতগুলোতে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমার বাণী রয়েছে। রাতে ঘুমানোর আগে এই সূরা তিলাওয়াত করলে মনে শান্তি ও প্রশান্তি আসে।
    ভালো ঘুম: সূরা মুলক তিলাওয়াত করলে মন শান্ত থাকে এবং ভালো ঘুম হয়।
  • ঈমানের বৃদ্ধি: সূরা মুলক তিলাওয়াত করলে ঈমানের শক্তি বৃদ্ধি পায়।

সূরা মুলক তিলাওয়াত করার নিয়ম:

  • وضو (ওজু) করে: প্রথমে ওজু করে নিন।
  • কিবলামুখী হয়ে: কিবলামুখী হয়ে বসুন।
  • নিয়ত করে: আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য সূরা মুলক তিলাওয়াত করার নিয়ত করুন।
  • তাজবিদ সহকারে: তাজবিদ সহকারে স্পষ্টভাবে সূরা মুলক তিলাওয়াত করুন।
  • অর্থ বুঝে: যদি সম্ভব হয়, তাহলে সূরা মুলকের অর্থ বুঝে তিলাওয়াত করুন।
  • দোয়া করে: সূরা মুলক তিলাওয়াত শেষে দোয়া করুন।

উপসংহার:ধार्मिक বিশ্বাস ও ঐতিহ্য অনুযায়ী, রাতে ঘুমানোর আগে সূরা মুলক তিলাওয়াত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। এই সূরা তিলাওয়াত করলে কবরের আযাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, মনে শান্তি আসে, ভালো ঘুম হয় এবং ঈমানের শক্তি বৃদ্ধি পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *