সূরা ইখলাস থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই

সূরা ইখলাসের শিক্ষা:

সূরা ইখলাস, যা “সূরা তওহীদ” নামেও পরিচিত, কোরআনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূরা। মাত্র চারটি আয়াতের এই সূরাটি তওহীদের, অর্থাৎ আল্লাহর একত্বের, মূলনীতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রদান করে।

এই সূরা থেকে আমরা যে মূল শিক্ষাগুলো লাভ করি তার মধ্যে রয়েছে:

১. আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়: সূরা ইখলাসের প্রথম আয়াতেই ঘোষণা করা হয়েছে যে,

আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি একাধিক বা অংশীদারবিহীন।

২. আল্লাহ স্বয়ংভূ: দ্বিতীয় আয়াতে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ স্বয়ংভূ। তিনি কারো সাহায্য বা সহায়তার অপেক্ষায় থাকেন না। বরং সকল জিনিস তাঁর উপর নির্ভরশীল।

৩. আল্লাহর কোন সন্তান নেই: তৃতীয় আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, আল্লাহর কোন সন্তান নেই। তিনি কারও সন্তানও নন।

৪. আল্লাহর সমকক্ষ কেউ নেই: চতুর্থ আয়াতে ঘোষণা করা হয়েছে যে, আল্লাহর সমকক্ষ কেউ নেই। তাঁর শক্তি, গুণাবলী এবং মর্যাদায় তাঁর তুল্য কেউ নেই।

সূরা ইখলাসের অন্যান্য শিক্ষা:

  • আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখা।
  • শুধুমাত্র আল্লাহরই ইবাদত করা।
  • শিরক থেকে বিরত থাকা।
  • আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
  • আল্লাহর ভয় ও আশায় জীবনযাপন করা।

সূরা ইখলাসের গুরুত্ব:

  • হাদিসে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “সূরা ইখলাস কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ।” (সহিহ মুসলিম)
  • এই সূরাটি নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়।
  • মৃত্যুর সময় এই সূরাটি পাঠ করলে জান্নাত লাভের আশা করা যায়।

সূরা ইখলাস মুসলিমদের ঈমানের ভিত্তি স্থাপন করে। এই সূরাটি নিয়মিত পাঠ করা এবং এর শিক্ষাগুলো মেনে চলা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য।

সূরা ইখলাসের আরবি পাঠ:

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ﴿١﴾ اللَّهُ الصَّمَدُ ﴿٢﴾ لَمْ يَلْدْ وَلَمْ يُولَدْ ﴿٣﴾ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوٌ أَحَدٌ ﴿٤﴾

সূরা ইখলাসের বাংলা অনুবাদ:

তুমি বলো, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়। (১)
আল্লাহ সমস্তের প্রয়োজন পূরণকারী। (২)
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁর কেউ জন্ম হয়নি। (৩)
এবং তাঁর কোন সমকক্ষ নেই। (৪)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *