সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের গুরুত্ব

সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত, আয়াতুল কুরসি, তাঁর অসাধারণ গুরুত্ব ও ফজিলতের জন্য বিশেষভাবে সমাদৃত। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন:

“যে ব্যক্তি প্রতিদিন সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত তিলাওয়াত করবে, তার ঘরে শয়তান প্রবেশ করবে না।” (বুখারী)

এই আয়াত দুটির গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য দিক :

১) আল্লাহর সর্বোচ্চতম গুণাবলীর বর্ণনা:

এই আয়াত দুটিতে আল্লাহর সর্বোচ্চতম গুণাবলী, যেমন জীবিত, সর্বশক্তিমান, সর্বজ্ঞ, সর্বশ্রবণশক্তিশালী, সর্বদ্রষ্টা ইত্যাদি বর্ণিত হয়েছে। এই গুণাবলী সম্পর্কে চিন্তাভাবনা আমাদের ঈমানকে শক্তিশালী করে এবং আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা বৃদ্ধি করে।

২) আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস:

এই আয়াত দুটি আমাদেরকে আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে শেখায়। আল্লাহ আমাদের সকলের রক্ষাকর্তা এবং তিনি আমাদের সকলের প্রয়োজন পূরণ করতে সক্ষম।

৩) আখেরাতের প্রতি সচেতনতা:

এই আয়াত দুটি আমাদেরকে আখেরাতের প্রতি সচেতন করে তোলে। আমাদের সকলকেই একদিন আল্লাহর সামনে হাজির হতে হবে এবং আমাদের কর্মের জন্য বিচার করা হবে।

৪) দু’আ ও মুনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা:

এই আয়াত দুটি আমাদেরকে দু’আ ও মুনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে শেখায়। আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা গ্রহণ করতে সক্ষম এবং তিনি আমাদের সকলের সমস্যা সমাধান করতে পারেন।

নিয়মিত সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত তিলাওয়াত করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করতে পারি এবং আমাদের ঈমানকে শক্তিশালী করতে পারি।

এই আয়াত দুটি তিলাওয়াত করার কিছু নিয়ম:

  • আয়াত দুটি তিলাওয়াত করার আগে আওয়াজ করে “আউযু” করতে হবে।
  • আয়াত দুটি তিলাওয়াত করার সময় মনোযোগ দিতে হবে এবং আল্লাহর গুণাবলী সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করতে হবে।
  • আয়াত দুটি তিলাওয়াত শেষে দু’আ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *