কোরবানির পশু ক্রয়ে ইসলামী নির্দেশনা:
পশুর প্রকার:
- গৃহপালিত: কোরবানির জন্য উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা ব্যবহার করা যাবে।
- অন্যান্য: পাখি, ঘোড়া, গাধা ইত্যাদি কোরবানির জন্য বৈধ নয়।
-
পশুর বয়স:
- উট: 5 বছর
- গরু ও মহিষ: 2 বছর
- ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা: 1 বছর
- পশুর শারীরিক অবস্থা:
-
- সুস্থ: কোরবানির পশু অবশ্যই সুস্থ, দৃঢ় এবং
কাঁচা হতে হবে। - দোষমুক্ত: অন্ধ, পঙ্গু, অসুস্থ, খুঁড়া,
এবং দুর্বল পশু কোরবানির জন্য উপযুক্ত নয়। - গর্ভবতী: গর্ভবতী পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না।
- সুস্থ: কোরবানির পশু অবশ্যই সুস্থ, দৃঢ় এবং
অন্যান্য:
- একই বয়সের: একই বয়সের দুটি পশু একসাথে কোরবানি দেওয়া উত্তম।
- নার-পুরুষ: একজন ব্যক্তি এককভাবে একটি গরু বা মহিষ
কোরবানি দিতে পারেন।
এক্ষেত্রে,পশুটি নার হলে
আরও একজনের সাথে অংশীদার হতে হবে। - অংশীদারিত্ব:
7 জন পর্যন্ত একসাথে একটি উট
কোরবানি দিতে পারেন। - শর্ত:
অংশীদারদের মধ্যে
পূর্বেই শর্ত ও উদ্দেশ্য
নির্ধারণ করে নিতে হবে। -
কোরবানির পশু কেনার সময়:
- বাজার: বিশ্বস্ত বাজার থেকে পশু ক্রয় করা উচিত।
- দামাদামি: ন্যায্য দামে পশু ক্রয় করা উচিত।
- ধোঁকা: প্রতারণা ও ঠিকাদারি এড়িয়ে চলতে হবে।
কুরআনে কোরবানির পশু সম্পর্কে বলা হয়েছে:
“এবং তুমি তাদের মাংস থেকে খাও এবং অভাবীদেরও খাওয়াও।” (সূরা হজ্ব: 36)
হাদিসে নবী (সাঃ) বলেছেন:
“যে ব্যক্তির সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদের মাঠের কাছেও না আসে।” (ইবনে মাজাহ 3123)
কোরবানির পশু ক্রয়ের সময় উপরোক্ত নির্দেশাবলী মেনে চললে ইনশাআল্লাহ আপনার কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে।