ইসলামে কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট কিছু পশু নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসব পশু কোরবানির জন্য উপযুক্ত নয় সেগুলি হল:
1. অসুস্থ পশু: কোরবানির জন্য পশু অবশ্যই সুস্থ এবং রোগমুক্ত হতে হবে। যদি কোন পশু অসুস্থ, দুর্বল, অন্ধ, খঞ্জুত, একপা খাড়া, বা অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে তা কোরবানির জন্য উপযুক্ত নয়।
2. খুব ছোট বা খুব বৃদ্ধ পশু: কোরবানির জন্য পশুর বয়স নির্ধারিত আছে। গরুর জন্য ন্যূনতম বয়স 2 বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স 6 বছর। ছাগলের জন্য ন্যূনতম বয়স 1 বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স 2 বছর। ভেড়ার জন্য ন্যূনতম বয়স 6 মাস এবং সর্বোচ্চ বয়স 2 বছর।
3. গর্ভবতী পশু: কোরবানির জন্য গর্ভবতী পশু ব্যবহার করা যাবে না।
4. অন্ধ পশু: জন্মগতভাবে অন্ধ পশু কোরবানির জন্য উপযুক্ত নয়। তবে, যদি পশু পরবর্তীতে অন্ধ হয় তবে তা কোরবানির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
5. খঞ্জুত পশু: জন্মগতভাবে খঞ্জুত পশু কোরবানির জন্য উপযুক্ত নয়। তবে, যদি পশু পরবর্তীতে খঞ্জুত হয় তবে তা কোরবানির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
6. একপা খাড়া পশু: কোরবানির জন্য একপা খাড়া পশু ব্যবহার করা যাবে না।
7. অন্যের মালিকানাধীন পশু: কোরবানির জন্য পশু অবশ্যই কোরবানিদাতার নিজস্ব মালিকানাধীন হতে হবে। অন্যের অনুমতি ছাড়া অন্যের পশু কোরবানি করা যাবে না।
8. অজানা উৎসের পশু: কোরবানির জন্য পশুর উৎস সম্পর্কে জানা থাকা উচিত। অজানা উৎসের পশু কোরবানি করা উচিত নয়।
9. যুদ্ধে ব্যবহৃত পশু: যুদ্ধে ব্যবহৃত পশু কোরবানির জন্য উপযুক্ত নয়।
10. নোংরা বা অপরিষ্কার পশু: কোরবানির জন্য পশু অবশ্যই পরিষ্কার এবং নোংরা মুক্ত হতে হবে।
মনে রাখবেন:
- কোরবানির পশু নির্বাচনের সময় উপরোক্ত বিষয়গুলি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
- যদি কোন পশুর উপযুক্ততা সম্পর্কে সন্দেহ থাকে, তাহলে একজন আলেম বা বিশ্বস্ত ব্যক্তির সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- কোরবানি একটি ধর্মীয় আচার এবং এটি যথাযথ শ্রদ্ধা ও মর্যাদার সাথে পালন করা উচিত