ইসলামে পর্দা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে

ইসলামি শরীয়তে পর্দার বিধান:

ইসলামে পর্দা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান যা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। পর্দার মূল উদ্দেশ্য হল নারীর সম্মান, মর্যাদা ও ঈমান রক্ষা করা।

পর্দার ধারণা:

  • নারীর শরীরের ‘আওরত’ ঢাকা: পর্দার অর্থ হল নারীর শরীরের ‘আওরত’ নামক অংশগুলো পুরুষদের (যারা তাদের ‘মাহরম’ নয়) থেকে ঢেকে রাখা।
  • পুরুষের চোখ নত রাখা: পর্দা কেবল নারীর জন্য নয়, পুরুষদের জন্যও। পুরুষদের উচিত অপরিচিত নারীদের দিকে তাকানো এড়িয়ে চলা এবং তাদের চোখ নত রাখা।
  • আচরণগত নিয়মকানুন: পর্দা শুধুমাত্র পোশাক পরিধানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি আচরণগত নিয়মকানুনও অন্তর্ভুক্ত করে। নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই একে অপরের সাথে মিথস্ক্রিয়া করার সময় শালীনতা ও নম্রতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

পর্দার গুরুত্ব:

  • সামাজিক ন্যায়বিচার ও নারীর ক্ষমতায়ন: পর্দা নারীদের শোষণ ও নির্যাতন থেকে রক্ষা করে এবং তাদের সমাজে সম্মান ও মর্যাদা প্রদান করে। এটি নারীদের তাদের যৌনতা দ্বারা সংজ্ঞায়িত হওয়ার পরিবর্তে তাদের বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা ও ব্যক্তিত্বের ভিত্তিতে মূল্যায়িত হতে সাহায্য করে।
  • পরিবার ও সমাজের সুস্থতা: পর্দা পরিবার ও সমাজের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি নারী ও পুরুষের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক রোধ করে এবং পারিবারিক মূল্যবোধ ও নীতিশাস্ত্র টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
  • ঈমান ও আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধি: পর্দা মুসলিমদের ঈমান ও আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি তাদেরকে আল্লাহ্‌র প্রতি আরও সচেতন হতে এবং তাঁর নির্দেশিকা মেনে চলতে উৎসাহিত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *