পেয়ারা, যা “আমৃতের ফল” নামেও পরিচিত, তার অসাধারণ পুষ্টিগুণের জন্য বিখ্যাত। এটি ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি সমৃদ্ধ উৎস। নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার করতে পারে।
পেয়ারার পুষ্টিগুণের মধ্যে রয়েছে:
ভিটামিন:
- ভিটামিন সি: পেয়ারা ভিটামিন সি-এর একটি চমৎকার উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, কোষের ক্ষতি রোধ এবং কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। একটি মাঝারি আকারের পেয়ারায় আপনার দৈনিক ভিটামিন সি-এর প্রয়োজনীয়তার 200% এরও বেশি থাকে।
- ভিটামিন এ: পেয়ারা ভিটামিন এ-এর একটি ভাল উৎস, যা দৃষ্টিশক্তি, ত্বকের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন কে: পেয়ারা ভিটামিন কে-এর একটি ভাল উৎস, যা হাড়ের স্বাস্থ্য, রক্ত জমাট বাঁধা এবং রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
খনিজ:
- পটাশিয়াম: পেয়ারা পটাশিয়ামের একটি ভাল উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে।
- ম্যাগনেসিয়াম: পেয়ারা ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভাল উৎস, যা পেশীর কার্যকারিতা, স্নায়ু কার্যকারিতা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
- ফলিক অ্যাসিড: পেয়ারা ফলিক অ্যাসিডের একটি ভাল উৎস, যা নতুন কোষের বৃদ্ধি এবং বিকাশে সহায়তা করে।
ফাইবার:
- পেয়ারা অघुलनশীল এবং দ্রবণীয় উভয় ধরণের ফাইবারের একটি ভাল উৎস। ফাইবার হজম স্বাস্থ্য উন্নত করতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট:
- পেয়ারা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা:
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: পেয়ারার উচ্চ ভিটামিন সি সামগ্রী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ঠান্ডা এবং ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
- হজম উন্নত করে: পেয়ারার ফাইবার সামগ্রী হজম উন্নত করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে এবং পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি: পেয়ারার পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সামগ্রী রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।