পরিমাণে পুষ্টি উপাদানও রয়েছে যা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
কাঠালের বীজে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান হল:
- ফাইবার: কাঠালের বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে এবং রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
প্রোটিন: কাঠালের বীজে প্রোটিনের পরিমাণও ভালো থাকে যা পেশী গঠনে এবং শরীরের মেরামত ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন ও খনিজ: কাঠালের বীজে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই, সেইসাথে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজও থাকে।
কাঠালের বীজ খেলে যেসব রোগের ঝুঁকি কমে:
- হৃদরোগ: কাঠালের বীজে থাকা ফাইবার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL) মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ভালো কোলেস্টেরলের (HDL) মাত্রা বাড়ায়। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- ক্যান্সার: কাঠালের বীজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে কোষগুলিকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
- ডায়াবেটিস: কাঠালের বীজে থাকা ফাইবার রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতেও সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য: কাঠালের বীজে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি মলকে নরম করে এবং পাচনতন্ত্রের মাধ্যমে এটি সহজেই চলে যেতে সাহায্য করে।
- ওজন কমানো: কাঠালের বীজে থাকা ফাইবার আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি ক্যালোরি গ্রহণ কমাতেও সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: কাঠালের বীজে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্ন: কাঠালের বীজে ভিটামিন এ থাকে যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।