জুমার নামাজের অসাধারণ ফজিলত:
ইসলামে জুমার নামাজের অত্যন্ত গুরুত্ব রয়েছে। এটি সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নামাজ এবং মুসলিমদের জন্য ঈদের দিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ।
জুমার নামাজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত:
• আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ:
হাদিসে রয়েছে,
“জুমার দিনের সেরা সময় হলো যখন ইমাম মিম্বরে বসেন। সেই সময় থেকে জুমার শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেকোনো কিছুর জন্য দু’আ করলে আল্লাহ তা’আলা তা কবুল করেন।” [সহীহ বুখারী]
• গুনাহ মাফি:
হাদিসে রয়েছে,
“যে ব্যক্তি প্রতি জুমার নিয়মিতভাবে গোসল করে, মসজিদে আসে এবং খুৎবা শুনে, তার পূর্ববর্তী জুমার থেকে এই জুমার পর্যন্ত সকল গুনাহ মাফি হয়ে যায়।” [সুনানে তিরমিযী]
জান্নাত লাভ:
হাদিসে রয়েছে,
“যে ব্যক্তি ৪০ টি জুমার নিয়মিতভাবে জামায়াতে আদায় করে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।” [সহীহ মুসলিম]
• দু’আ কবুল:
হাদিসে রয়েছে,
“জুমার দিনের দু’আ বিশেষভাবে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।” [সহীহ তিরমিযী]
• আল্লাহর সাথে নৈকট্য বৃদ্ধি:
জুমার নামাজে অংশগ্রহণ আল্লাহর সাথে নৈকট্য বৃদ্ধি করে এবং মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করে।
• পাপ থেকে বিরত থাকা:
জুমার নামাজ মুসলিমদের পাপ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুপ্রাণিত করে এবং তাদের নেক আমলের দিকে ধাবিত করে।
সামাজিক দায়িত্ব পালন:
জুমার নামাজ মুসলিমদের সামাজিক দায়িত্ব পালনের প্রতি সচেতন করে তোলে।
জুমার নামাজের কিছু বিশেষ নিয়ম:
- গোসল করা: জুমার নামাজের আগে গোসল করা সুন্নত।
- সুগন্ধি ব্যবহার করা: জুমার নামাজে যাওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত।
- শুক্রবার সকালে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠা: জুমার নামাজের জন্য দ্রুত ঘুম থেকে ওঠা এবং তাড়াতাড়ি মসজিদে যাওয়া সুন্নত।
- জুমারের আগে ওয়াজ পড়া: জুমারের আগে ওয়াজ পড়া সুন্নত।
- জুমারের খুৎবা মনোযোগ দিয়ে শোনা: জুমারের খুৎবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ওয়াজিব।
- জুমারের নামাজ জামায়াতে আদায় করা: জুমারের নামাজ জামায়াতে আদায় করা ওয়াজিব।