গ্রীষ্মে ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

গ্রীষ্মে ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়:

প্রতিরোধ:

  • স্বাস্থ্যবিধি:

    • হাত ধোয়া: খাবার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর, ডায়াপার পরিবর্তনের পর,
      নাপাক জিনিস স্পর্শ করার পর এবং
      কাশি/সর্দি লাগলে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুয়ে
      ডায়রিয়া রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়া রোধ করুন।
    • খাবারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:
      পানি,
      ফল ও শাকসবজি ভালো করে ধুয়ে খান।
      মাংস
      ,মাছ ও ডিম ভালো করে রান্না করে খান।
      খাবার ঢেকে রাখুন এবং দ্রুত নষ্ট
      হওয়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
    • ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি:
      শিশুদের ডায়াপার নিয়মিত পরিবর্তন করুন এবং
      পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
      পোষা প্রাণীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
  • টিকা:

    • রোটাভাইরাস টিকা:
      শিশুদের ডায়রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল রোটাভাইরাস।
      জন্মের ৬ সপ্তাহের মধ্যে
      শিশুদের রোটাভাইরাস টিকা দেওয়া উচিত।
    • খাদ্যাভ্যাস:
    • পর্যাপ্ত পানি পান:
      ডায়রিয়ায় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়।তাই,

      ডায়রিয়া হলে অরস (ORS) এবং নারকেল জলের মতো লবণ ও শর্করা সমৃদ্ধ পানীয় প্রচুর পরিমাণে
      পান করুন
    • সহজপাচ্য খাবার:
      ডায়রিয়ার সময় হজমে সহজ
      এমন খাবার খান যেমন
      চালের ভাত,
      পুরনো রুটি,পেঁপে,আরসার বাঁশি ইত্যাদি।
    • চর্বি ও মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন:
      এই ধরণের খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  • চিকিৎসা:

    • ডাক্তারের পরামর্শ:
      ডায়রিয়া তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হলে
      অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
    • ঔষধ:ডাক্তারপ্রয়োজনেডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য ঔষধ দিতে পারেন।

    মনে রাখবেন:

    • শিশু ও বৃদ্ধদের ডায়রিয়া
      বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।তাই তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
    • ডায়রিয়াদীর্ঘস্থায়ীহলেঅবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *