ভারী খাবারের পর হজমে সহায়তা করবে এমন কিছু পানীয়:
১. পানি:
- হজমের জন্য পানি অপরিহার্য। খাবার খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে খাবার ভেঙে পাতলা হতে এবং হজমের প্রক্রিয়া সহজ হতে সাহায্য করে।
২. জিরা পানি:
- জিরা পানি হজমশক্তি উন্নত করতে এবং পেট ফোলাভাব, গ্যাস এবং অজீர্তি কমাতে সাহায্য করে। জিরা তৈরি করতে, এক চা চামচ জিরা দানা এক কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে পান করুন।
৩. আদা চা:
- আদা চা হজমের জন্য একটি জনপ্রিয় প্রতিকার। আদা পেটের অস্বস্তি, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে। আদা চা তৈরি করতে, এক টুকরো আদা পাতলা করে কেটে এক কাপ গরম পানিতে 5 মিনিট ফুটিয়ে নিন। ছেঁকে মধু বা লেবুর রস দিয়ে মিষ্টি করে পান করুন।
৪. পুদিনা পানি:
- পুদিনা পেটের অস্বস্তি এবং হজম সমস্যার জন্য একটি ঠান্ডা এবং menyegarkan প্রতিকার। পুদিনা পানি তৈরি করতে, কয়েকটি পুদিনা পাতা এক কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে পান করুন।
৫. তেঁতুল পানি:
- তেঁতুল পানি হজমশক্তি উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। তেঁতুল পানি তৈরি করতে, এক টেবিল চামচ তেঁতুলের গুঁড়ো এক কাপ পানিতে মিশিয়ে নিন।
৬. লবণ-চিনি মিশ্রিত পানি:
- ভারী খাবার খাওয়ার পর পেট খারাপ হলে লবণ-চিনি মিশ্রিত পানি পানে স্বস্তি পেতে পারেন। এক গ্লাস পানিতে অল্প লবণ ও চিনি মিশিয়ে পান করুন।
৭. ডাবের জল:
- ডাবের জল হজমশক্তি উন্নত করতে এবং পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। খাবার খাওয়ার পর এক গ্লাস ডাবের জল পান করুন।
মনে রাখবেন:
- এই পানীয়গুলো ছাড়াও, পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল, শাকসবজি এবং ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- নিয়মিত ব্যায়াম করাও হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
- যদি আপনার হজম সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা তীব্র হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।