কোরবানি পরবর্তী সময়ে করণীয়:
ধর্মীয় কর্মকাণ্ড:
- তাকবির তাশরিক: জিলহজের ১০ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত প্রতিদিন সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত “আল্লাহু আকবার” বলতে থাকা।
- জিকির-আযকার: জিলহজ মাসে বেশি বেশি জিকির-আযকার করা।
- দোয়া-প্রার্থনা: আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দয়া চাওয়া, কোরবানি গ্রহণ করার জন্য প্রার্থনা করা।
- সদকা: গরিব ও অভাবীদের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণ করা।
- সিলাতুর রাহিম: আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা করা এবং তাদের সাথে সময় কাটানো।
সামাজিক কর্মকাণ্ড:
- গরিব ও অভাবীদের সাহায্য করা: তাদের মাঝে কোরবানির মাংস, খাদ্য, পোশাক, অর্থ ইত্যাদি বিতরণ করা।
- সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা: কোরবানি বিতরণ অনুষ্ঠান, মিলাদ মাহফিল, জিকির মাহফিল ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করা।
- পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা: কোরবানির বর্জ্য যথাযথ স্থানে ফেলে পরিবেশ পরিষ্কার রাখা।
ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড:
- আত্ম-পর্যালোচনা করা: কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং নিজের ভুল-ত্রুটি সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া।
- নতুন নতুন নেক আমল শুরু করা: নামাজ-রোজা, দান-সদকা, হজ্জ-ওমরা ইত্যাদি নেক আমল শুরু করা।
- পাপ-আচার থেকে বিরত থাকা: মিথ্যা বলা, পরনিন্দা করা, অপব্যবহার করা ইত্যাদি পাপ-আচার থেকে বিরত থাকা।
কোরবানির মাংস সংরক্ষণ:
- ফ্রিজে সংরক্ষণ: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে কাটা মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ করা।
- স্যালাইন করা: মাংস লবণাক্ত পানিতে ভিজিয়ে রাখা (স্যালাইন করা) যাতে দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায়।
- শুকিয়ে সংরক্ষণ: মাংস শুকিয়ে (ঝুরি) সংরক্ষণ করা।
- ব্যাগে করে সংরক্ষণ: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন প্লাস্টিকের ব্যাগে করে মাংস সংরক্ষণ করা।
কোরবানির চামড়া ব্যবহার:
চামড়া বিক্রি করা: চামড়া বিক্রি করে অর্থ দান-সদকা করা।
জুতা-ব্যাগ তৈরি করা: চামড়া দিয়ে জুতা, ব্যাগ, বেল্ট ইত্যাদি তৈরি করা।
মসজিদের জন্য দান করা: মসজিদের জন্য চামড়া দান করা।
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা:
স্থানীয় সরকারের সাথে যোগাযোগ করা: কোরবানির বর্জ্য স্থানীয় সরকারের নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে।