শিশুর ওজন কম হলে, তাদের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেবল খাবারের পরিমাণ বাড়ানোর চেয়ে, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করা উচিত।
কিছু খাবার যা আপনার শিশুর ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে:
১) দুগ্ধজাত খাবার:
- পূর্ণ চর্বিযুক্ত দুধ: প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর চমৎকার উৎস।
- দই: প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ যা হজমে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- পনির: প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন এ-এর ভাল উৎস।
২) শস্যজাত খাবার:
- ওটমিল: ফাইবার, প্রোটিন এবং লোহার একটি ভাল উৎস।
- বাদামি ভাত: সাদা ভাতের চেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।
- কুইনোয়া: প্রোটিন, ফাইবার এবং লোহার একটি সম্পূর্ণ উৎস।
৩) মাংস, মাছ এবং ডিম:
- চর্বিযুক্ত মাছ: স্যামন, সার্ডিন এবং হিলিং মাছের মতো মাছ ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাল উৎস।
- চিকেন ও মুরগির মাংস: প্রোটিন এবং লোহার একটি ভাল উৎস।
- ডিম: প্রোটিন, ভিটামিন এ এবং ডি-এর একটি ভাল উৎস।
৪) ফল ও শাকসবজি:
- আভোকাডো: স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার এবং ভিটামিন ই-এর একটি ভাল উৎস।
- শুকনো ফল: বাদাম, আখরোট এবং কাজুবাদামের মতো শুকনো ফল প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির ভাল উৎস।
- গাজর: ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিনের একটি ভাল উৎস।
- পালং শাক: লোহা এবং ভিটামিন সি-এর একটি ভাল উৎস।
৫) অন্যান্য:
- ঘি: স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ভিটামিন এ-এর একটি ভাল উৎস।
- মধু: প্রাকৃতিক চিনি যা শক্তি বৃদ্ধি করে।
কিছু টিপস:
- শিশুর খাবারে ক্যালোরি এবং পুষ্টির ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর চর্বি যোগ করুন।
- শিশুকে ছোট ছোট করে বারবার খাওয়ান।
- খাবার আকর্ষণীয় করে তুলুন এবং শিশুকে খেতে উৎসাহিত করুন।
- জল পান নিশ্চিত করুন।
- যদি আপনার শিশুর ওজন নিয়ে উদ্বেগ থাকে, তাহলে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।