আয়াতুল কুরসির ফজিলত:
আয়াতুল কুরসি হলো পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত। এই আয়াতটি তার অসাধারণ গুণাবলী ও বরকতের জন্য বিশেষভাবে সমাদৃত। হাদিসে নবী (সাঃ) এর বানীতে বর্ণিত হয়েছে, “কোরআনের সবচেয়ে উঁচু আয়াত হলো আয়াতুল কুরসি। এতে আল্লাহর ৩০ টি নাম আছে। যে ব্যক্তি এটি মুখস্থ করবে, তার জন্য জান্নাত অবশ্যই লাভবান হবে।” ([বায়হাকি, শু’আবুল ঈমান, ৪/৩৩৮])
আয়াতুল কুরসি পাঠ করার কিছু ফজিলত:
- জান্নাতের পথ সুগম করে: হাদিসে নবী (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার জন্য জান্নাত অবশ্যই লাভবান হবে।” ([তিরমিজি, 2875])
- মৃত্যুর সময় সঙ্গ দেয়: হাদিসে নবী (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার জন্য আল্লাহ একজন ফেরেশতা পাঠাবেন যিনি তাকে রক্ষা করবেন এবং তার মৃত্যুর সময় তাকে সঙ্গ দেবেন।” ([তিরমিজি, 2876])
- গুনাহ মাফ করে: হাদিসে নবী (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ১০০ বার আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার ১০০ গুনা পুণ্য লাভ হবে এবং ১০০ টি গুনাহ মাফ হবে।” ([ইবনে মাজাহ, 3805])
- ঘর থেকে শয়তান তাড়ায়: হাদিসে নবী (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার ঘরে শয়তান প্রবেশ করতে পারবে না।” ([তিরমিজি, 2877])
- বিপদ থেকে রক্ষা করে: হাদিসে নবী (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোন বিপদে পড়লে আয়াতুল কুরসি পড়বে, আল্লাহ তাকে বিপদ থেকে রক্ষা করবেন।” ([আবু দাউদ, 1460])
আয়াতুল কুরসি পাঠ করার নিয়ম:
- আয়াতুল কুরসি পাঠ করার আগে অবশ্যই অযু করতে হবে।
- আয়াতুল কুরসি পাঠ করার সময় মনোযোগ দিয়ে এবং শ্রদ্ধার সাথে পড়তে হবে।
- আয়াতুল কুরসি পাঠ করার পরে দোয়া করতে হবে।
আয়াতুল কুরসির আরবি পাঠ:
**اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِعِلْمِهِ