ডায়বেটিস একটি গুরুতর রোগ যা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখা দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ, অন্ধত্ব এবং পায়ের সমস্যা।
ডায়বেটিসের কিছু সাধারণ লক্ষণ:
- অতিরিক্ত তৃষ্ণা: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার পরেও তৃষ্ণা মেটে না।
- বারবার প্রস্রাব করা: দিনে অনেকবার প্রস্রাব করা, বিশেষ করে রাতে।
- অতিরিক্ত ক্ষুধা: সাধারণের চেয়ে বেশি খাওয়ার পরেও ক্ষুধা অনুভব করা।
- অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস: কারণ ছাড়াই ওজন হ্রাস।
- শারীরিক দুর্বলতা: শরীরে শক্তি কম অনুভব করা।
- অস্পষ্ট দৃষ্টি: দৃষ্টি ঝাপসা বা অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া।
- শুষ্ক ত্বক: ত্বক শুষ্ক ও চুলকানি হওয়া।
- মন্থরতা: শরীরে ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করা।
- ঘন ঘন ইনফেকশন: ঘন ঘন ইনফেকশন হওয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী হওয়া।
- কাটা বা ঘাড়ে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত: ক্ষত সহজে শুকা না।
যদি আপনার এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি থাকে, তাহলে ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। ডায়বেটিস নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষা করা হয়।
ডায়বেটিসের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে:
- টাইপ ১ ডায়বেটিস: এটি একটি অটোইমিউন রোগ যেখানে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অগ্ন্যাশয়ের কোষগুলিকে ধ্বংস করে যা ইনসুলিন উৎপন্ন করে। ইনসুলিন হল একটি হরমোন যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। টাইপ ১ ডায়বেটিসের জন্য ইনসুলিন থেরাপি প্রয়োজন।
- টাইপ ২ ডায়বেটিস: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরণের ডায়বেটিস। এটি শরীরের ইনসুলিন ব্যবহার করার ক্ষমতার অভাব বা ইনসুলিনের অপর্যাপ্ত উৎপাদনের কারণে হয়। টাইপ ২ ডায়বেটিস প্রায়শই লাইফস্টাইল পরিবর্তন, ওষুধ বা উভয়ের সংমিশ্রণ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
- গর্ভাবস্থায় ডায়বেটিস: এটি গর্ভাবস্থায় প্রথমবার দেখা দেয় এমন ডায়বেটিস। এটি শিশু এবং মায়ের জন্য উভয়ের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং ডাক্তারের নির্দেশাবলী অনুসরণ করে আপনি ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।