সূরা কাহফের ফজিলত:
সূরা কাহফ পবিত্র কোরআনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতশীল সূরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছিল এবং এর আয়াত সংখ্যা ১১০।
সূরা কাহফের কিছু ফজিলত:
- জুমার দিন সূরা কাহফ তেলাওয়াত করলে:
- এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত ঈমানের নূর ঝলমলে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)
- আট দিন পর্যন্ত সবধরনের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবেন। (আবু দাউদ ৪৩২৩)
- দাজ্জালের ফিৎনা থেকে হেফাজত থাকবেন। (সহিহ মুসলিম ৮০৯)
- সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করলে:
- দাজ্জালের ফেতনা থেকে হেফাজত থাকবেন। (সহিহ মুসলিম ৮০৯)
- সূরা কাহফের শেষ দশ আয়াত তেলাওয়াত করলে:
- আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেবেন। (তিরমিজি ৩০৫০)
- নিয়মিত সূরা কাহফ তেলাওয়াত করলে:
- কবরে একাকিত্ব ও ভয় থেকে মুক্তি পাবেন। (আহমাদ ৫৩৯২)
- আল্লাহ তার জন্য দু’জন ফেরেশতা পাঠাবেন যারা তার সঙ্গ দেবে। (তিরমিজি ৩০৫০)
- আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেবেন। (তিরমিজি ৩০৫০)
- সূরা কাহফ তেলাওয়াতের মাধ্যমে:
- আল্লাহ শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা করবেন।
- মানসিক প্রশান্তি লাভ হবে।
- হৃদয় আলোকিত হবে।
- ঈমানের শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
সূরা কাহফ তেলাওয়াত করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত:
- ওজু করে তেলাওয়াত করা।
- খাঁটি নিয়ত রাখা।
- মনোযোগ সহকারে তেলাওয়াত করা।
- আয়াতের অর্থ বুঝে তেলাওয়াত করা।
- আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।