সমঝোতায় খেলাপি ঋণ আদায়ের নির্দেশ, মামলা নয়

মামলা ছাড়াও সমঝোতার মাধ্যমে খেলাপি ঋণ আদায়ের নির্দেশিকা:

১. ঋণগ্রহীতাদের সাথে যোগাযোগ:

  • প্রথমে, ব্যাংকগুলোকে ঋণগ্রহীতাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং তাদের ঋণ পরিশোধের জন্য অনুরোধ করতে হবে।
  • ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতে হবে এবং তাদের সাথে একটি সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

২. পুনঃকাঠামো এবং পুনর্বিন্যাস:

  • ঋণগ্রহীতারা যদি তাদের সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম হয়, তবে ব্যাংকগুলো তাদের ঋণ পুনঃকাঠামো বা পুনর্বিন্যাস করতে পারে।
  • এর অর্থ হল ঋণের শর্তাবলী পরিবর্তন করা, যেমন সুদের হার কমানো, কিস্তির পরিমাণ কমানো বা ঋণের মেয়াদ বাড়ানো।

৩. ঋণ স্থগিতকরণ:

  • কিছু ক্ষেত্রে, ব্যাংকগুলো ঋণগ্রহীতাদের জন্য ঋণ স্থগিত করতে পারে।
  • এর অর্থ হল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঋণের উপর কোন সুদ বা মূল পরিশোধ করা হবে না।

৪. সম্পত্তি বিক্রয়:

  • যদি ঋণগ্রহীতা অন্যান্য সমাধানগুলি মেনে না চলে, তবে ব্যাংকগুলি তাদের 抵押 সম্পত্তি বিক্রি করে ঋণ আদায় করতে পারে।

৫. আইনি ব্যবস্থা:

  • শেষ অবলম্বন হিসেবে, ব্যাংকগুলি ঋণ আদায়ের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে।

এই নির্দেশিকার লক্ষ্য হল:

  • মামলা ছাড়াও সমঝোতার মাধ্যমে খেলাপি ঋণ আদায় বৃদ্ধি করা।
  • ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধে সহায়তা করা।
  • ব্যাংকিং ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে যে, ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশিকা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য সমঝোতার কিছু সুবিধা হল:

  • এটি মামলার চেয়ে কম খরচসাপেক্ষ।
  • এটি দ্রুত সমাধানে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
  • এটি ঋণগ্রহীতা ও ঋণদাতার মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করতে পারে।

তবে, সমঝোতার কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে:

  • ঋণগ্রহীতা যদি সমঝোতায় পৌঁছাতে অস্বীকার করে তবে তা ব্যর্থ হতে পারে।
  • ঋণের সম্পূর্ণ পরিমাণ আদায় করা নাও যেতে পারে।

**সামগ্রিকভাবে, মামলা ছাড়াও সমঝোতার মাধ্যমে খেলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *