বর্ষাকালে শাক খাওয়া নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকেই মনে করেন বর্ষায় শাক খেলে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তবে, এই ধারণাটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। বর্ষায় সাবধানতার সাথে শাক খেলে বরং শরীরের জন্য উপকারী।
কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে বর্ষায় নিরাপদে শাক খাওয়া সম্ভব:
- শাক ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করুন: বাজার থেকে আনা শাক ভালো করে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করুন। পাতাগুলো আলাদা করে ধুয়ে নিন এবং ময়লা ও পোকামাকড় অপসারণ করুন।
- পানিতে ভিজিয়ে রাখুন: শাক কয়েক মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখলে পোকামাকড় ও ময়লা বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।
- ভালো করে রান্না করুন: শাক ভালো করে রান্না করলে জীবাণু নষ্ট হয়।
- কিছু শাক এড়িয়ে চলুন: পানিতে জন্মানো শাক, যেমন: কচুপাতা, ঢেঁড়স শাক, ওলকপাতা ইত্যাদি বর্ষাকালে এড়িয়ে চলা ভালো। কারণ এই শাকগুলোতে জীবাণু ও ক্ষতিকর পোকামাকড় থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- শরীরের অবস্থা অনুযায়ী খান: যাদের পেটের সমস্যা আছে তারা বর্ষাকালে সাবধানে শাক খাবেন। ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, বা ডায়রিয়ার সময় শাক খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
বর্ষায় উপকারী কিছু শাক:
- লাউ শাক: লাউ শাক ভিটামিন এ, সি, এবং ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস।
- পুঁই শাক: পুঁই শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফাইবার থাকে।
- শসা শাক: শসা শাকে ভিটামিন কে এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
- ঢেঁড়স: ঢেঁড়সে ভিটামিন বি এবং পটাশিয়াম থাকে।
- বেগুন শাক: বেগুন শাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার থাকে।
মনে রাখবেন: বর্ষাকালে শাক খাওয়ার আগে সাবধানতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। উপরে উল্লেখিত টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনি নিরাপদে শাক খেয়ে এর পুষ্টিগুণ উপভোগ করতে পারবেন।