প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করলে ঠোঁটের কিছু ক্ষতি হতে পারে, তবে ঝুঁকি কমাতে কিছু পদক্ষেপও নেওয়া যায়।
সম্ভাব্য ক্ষতি:
- শুষ্কতা: কিছু লিপস্টিকে শুষ্ককারী উপাদান থাকে যা ঠোঁটের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হ্রাস করতে পারে, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে।
- চিড়ে ভাব ও অ্যালার্জি: কিছু লিপস্টিকে সুগন্ধি, রঞ্জক, বা সংরক্ষণকারী উপাদান থাকে যা সংবেদনশীল ঠোঁটে চিড়ে ভাব বা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
- গাঢ় রঙের লিপস্টিক: গাঢ় রঙের লিপস্টিক ঠোঁটের ত্বকে রঞ্জক জমা করতে পারে, বিশেষ করে যদি ঠোঁট আগে থেকেই শুষ্ক হয়।
-
- সীসার বিষাক্ততা: কিছু পুরানো লিপস্টিকে সীসার মতো ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে, যদিও আধুনিক লিপস্টিকগুলোতে এটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ঝুঁকি কমাতে পদক্ষেপ:
- ময়েশ্চারাইজিং লিপস্টিক ব্যবহার করুন: নিয়মিত ঠোঁট ময়েশ্চারাইজ করার জন্য লিপ balm বা ময়েশ্চারাইজিং লিপস্টিক ব্যবহার করুন।
- পুরনো লিপস্টিক ফেলে দিন: লিপস্টিকের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তা ফেলে দিন।
- ঠোঁট পরিষ্কার রাখুন: রাতে ঘুমানোর আগে লিপস্টিক সাবধানে অপসারণ করুন এবং ঠোঁট পরিষ্কার রাখুন।
- চিড়ে ভাব অনুভব করলে ব্যবহার বন্ধ করুন: কোন লিপস্টিক ব্যবহারের পর ঠোঁটে চিড়ে ভাব, জ্বালাপোড়া বা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া অনুভব করলে ব্যবহার বন্ধ করুন এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
মনে রাখবেন:
- সকলের ঠোঁটের ত্বক একই রকম নয়।
- কোন লিপস্টিক আপনার জন্য ক্ষতিকর কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য আপনার নিজের ঠোঁটের প্রতি মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- সন্দেহ হলে, একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
অতিরিক্ত টিপস:
- ঠোঁট স্ক্রাব: সপ্তাহে 1-2 বার ঠোঁট স্ক্রাব করে মৃত ত্বককলা অপসারণ করুন।
- সূর্য থেকে রক্ষা: ঠোঁটের জন্য SPFযুক্ত লিপ balm ব্যবহার করে ঠোঁটকে রোদের ক্ষতিকর UV किरण থেকে রক্ষা করুন।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্য: পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খান।