জিকিরের উপকারিতা

জিকির করার ফজিলত:

জিকির হলো আল্লাহর স্মরণ করা, তাঁর গুণাবলী বর্ণনা করা, তাঁর প্রশংসা করা এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করা। জিকির ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং এর অগণিত ফজিলত ও উপকারিতা রয়েছে।

কুরআনে জিকিরের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে

আল্লাহ বলেন: “তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করো এবং সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করো।” (সূরা আহজাব: ৪১-৪২)
আল্লাহ আরও বলেন: যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়, জেনে রাখ আল্লাহর স্মরণ দ্বারা অন্তরসমূহ প্রশান্তি পায়। (সূরা রা’দ: ২৮)

জিকিরের কিছু ফজিলত ও উপকারিত

আধ্যাত্মিক ফজিলতঃ

আল্লাহর সান্নিধ্য লাভঃ জিকির করার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করে।
পাপ থেকে মুক্তিঃ জিকির নিয়মিত করলে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মানসিক প্রশান্তিঃ জিকির করলে মন প্রশান্ত হয় এবং চিন্তা-ভাবনা পরিষ্কার থাকে।
দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তিঃ জিকির করলে দুঃখ-কষ্ট দূর হয় এবং আনন্দ আসে।
শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষাঃ জিকির করলে শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ঈমানের শক্তি বৃদ্ধিঃ জিকির করলে ঈমানের শক্তি বৃদ্ধি পায়।
আখিরাতে সফলতাঃ  জিকির করলে আখিরাতে সফলতা অর্জিত হয়।

লাইকলিক ফজিলত

জ্ঞান ও বুদ্ধি বৃদ্ধিঃ জিকির করলে জ্ঞান ও বুদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
রিজক বৃদ্ধিঃ জিকির করলে রিজক বৃদ্ধি পায়।
সুস্থতা লাভঃ জিকির করলে সুস্থতা লাভ হয়।
দা’ওয়াতের কার্যকারিতা বৃদ্ধিঃ জিকির করলে দা’ওয়াতের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
সমস্যার সমাধানঃ জিকির করলে জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়।
মানসম্মান বৃদ্ধিঃ জিকির করলে সমাজে মানসম্মান বৃদ্ধি পায়।

জিকির করার বিভিন্ন উপায়

আল্লাহর নাম (আসমাউল হুসনা) উচ্চারণ করা:আল্লাহর বিভিন্ন নাম উচ্চারণ করা জিকিরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
তাসবিহ পড়াঃ “সুবহানাল্লাহ”, “আলহামদুলিল্লাহ”, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, “আল্লাহু আকবর” ইত্যাদি তাসবিহ পড়া জিকিরের অন্তর্ভুক্ত।
দোয়া করাঃ আল্লাহর কাছে বিভিন্ন বিষয়ে দোয়া করা জিকিরের অন্তর্ভুক্ত।

 

কুরআন পাঠ করাঃ কুরআন পাঠ করাও জিকিরের অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহর প্রশংসা করাঃ আল্লাহর গুণাবলী বর্ণনা করে তাঁর প্রশংসা করা জিকিরের অন্তর্ভুক্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *