উদ্বেগ কমাতে নানারকম উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন:
১. নিয়মিত ব্যায়াম:
ব্যায়াম শরীরে এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসরণ করে যা মেজাজ উন্নত করে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, বা অন্য কোনও এ্যারোবিক ব্যায়াম করা উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করবে।
২. পর্যাপ্ত ঘুম:
২। ঘুমের অভাবে উদ্বেগের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। নিয়মিত ঘুমের সময়সূচী বজায় রাখুন এবং ঘুমের আগে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
৩. স্বাস্থ্যকর খাবার:
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া শরীরে ও মনে ভারসাম্য রক্ষা করে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি, এবং পূর্ণ শস্য খান।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনিযুক্ত পানীয়, এবং ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।
৪. ধ্যান ও যোগব্যায়াম:
ধ্যান ও যোগব্যায়াম মনকে শান্ত করে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট ধ্যান বা যোগব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
বিভিন্ন ধরণের ধ্যান ও যোগব্যায়াম অনলাইনে পাওয়া যায়।
৫. শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম:
গভীর ও ধীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মনকে শিথিল করে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াফ্রাম ব্যবহার করে দীর্ঘ ও ধীর শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন।
বিভিন্ন ধরণের শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম অনলাইনে পাওয়া যায়।
৬. সময় ব্যবস্থাপনা:
ভালোভাবে সময় ব্যবস্থাপনা করলে কাজের চাপ কমে এবং উদ্বেগ কমে।
একটি তালিকা তৈরি করে দিনের কাজগুলি নির্ধারণ করুন এবং গুরুত্ব অনুসারে কাজগুলো সম্পন্ন করুন।
অপ্রয়োজনীয় কাজ এড়িয়ে চলুন এবং সময় নষ্ট করা কমান।
৭. নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূর করা:
নেতিবাচক চিন্তাভাবনা উদ্বেগের মূল কারণ।
ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করার চেষ্টা করুন এবং নেতিবাচক চিন্তাভাবনাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করুন।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার অভ্যাস করুন এবং জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোতে মনোযোগ দিন।
৮. সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি:
প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানো এবং সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করলে উদ্বেগ কমে।
বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।
নতুন বন্ধু তৈরি করার চেষ্টা করুন এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করুন।