অতিরিক্ত গেজেটের ব্যবহার মানসিক স্ট্রেসের কারণ, চলুন বিস্তারিত জেনে নেই
আধুনিক জীবনে গেজেট অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। কাজ থেকে শুরু করে বিনোদন, সবকিছুতেই আমরা গেজেটের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু অতিরিক্ত গেজেটের ব্যবহার আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে স্ট্রেস বৃদ্ধি করে।
কীভাবে অতিরিক্ত গেজেটের ব্যবহার স্ট্রেস বাড়ায়:
অতিরিক্ত স্ক্রিন সময়: দীর্ঘক্ষণ ধরে স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা ট্যাবলেটের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা চোখের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং মাথাব্যথা, ঘুমের সমস্যা এবং ক্লান্তির কারণ হতে পারে। এই শারীরিক সমস্যাগুলো মানসিক চাপের দিকে ধাবিত করে।
তথ্যের অতিঝাঁঝ:সোশ্যাল মিডিয়া, নিউজ ফিড এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রচুর পরিমাণে তথ্য আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে মস্তিষ্ক বিভ্রান্ত ও অতিরিক্ত উদ্দীপিত হয়, যার ফলে উদ্বেগ ও চাপ বৃদ্ধি পায়।
FOMO” (Fear of Missing Out): সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যদের “সুখী” ও “পূর্ণ” জীবন দেখে অনেকেই “FOMO”-তে ভোগেন। মনে হয় যেন সবাই তাদের চেয়ে ভালো করছে, যা হতাশা ও আত্ম-সম্মানের অভাবের দিকে ধাবিত করে। ফলে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়।
সামাজিক বিচ্ছিন্নতা:গেজেটের প্রতি আসক্তি বাস্তব জগতের মানুষের সাথে মুখোমুখি যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। এর ফলে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বৃদ্ধি পায় এবং মানসিক চাপ ও একাকীত্বের অনুভূতি দেখা দেয়।
ঘুমের ব্যাঘাত: বিছানায় যাওয়ার আগে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করলে নীল আলো মস্তিষ্কে মেলাটোনিন হরমোনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়, যা ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়। ফলে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয় এবং দিনের বেলায় ক্লান্তি ও অবসাদ বৃদ্ধি পায়।
কিছু সমাধান:
স্ক্রিন সময় সীমাবদ্ধ করুন: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গেজেট ব্যবহার করুন এবং “Digital Detox” অনুশীলন করুন, যেমন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গেজেট ব্যবহার বন্ধ রাখা।
সচেতন ব্যবহার:কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য গেজেট ব্যবহার করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক বিষয়বস্তু এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত ব্রেক নিন এবং গেজেট থেকে দূরে থাকুন।
বিকল্প কার্যক্রম:বই পড়া, গান শোনা, বাইরে সময় কাটানো, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সাথে সময় কাটানোর মতো সময় বের করতে হবে।